৬.১ ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট (Database Management:)
ডেটাবেজ: ডেটা (Data) শব্দের অর্থ উপাত্ত এবং বেজ (base) শব্দের অর্থ সমাবেশ। সূতরাং ডেটাবেজ হচ্ছে উপাত্তের সমাবেশ। পরস্পর সম্পর্কযুক্ত একাধিক ডেটা টেবিল বা ফাইলের সমষ্টি হচ্ছে ডেটাবেজ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এযুগে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান তার সকল ডেটা ঐ প্রতিষ্ঠানের ডেটাবেজে সংরক্ষিত থাকে। একটি ডেটাবেজে একাধিক টেবিল, ফর্ম, রিপোর্ট, কুয়েরি, ম্যাক্রো ইত্যাদি থাকতে পারে। ডেটাবেজের ডেটাগুলো বিভিন্ন প্রয়োজনে সহজে ব্যবহার করা যায়। প্রয়োজনে ডেটা পরিবর্তন / আপডেট করা যায়। এখানে ডেটাগুলো দক্ষতার সাথে ব্যবহার করা যায়। যদিও ডেটাবেজে ডেটা সংরক্ষণ করলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়, তবে ডেটাবেজ পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দক্ষ জনসম্পদ প্রয়োজন। ডেটাবেজে ভুল ডেটা ইনপুট করলে সম্পূর্ণ ডেটাবেজকে প্রভাবিত করে। অনেক ডেটাবেজে প্রক্রিয়াকরণ ধীরগতি সম্পন্ন। ডেটাবেজ তথ্য ব্যবস্থাপনা, ব্যাংকিং, এয়ার লাইন্স, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, টেলিকমিউনিকেশন, অর্থ ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করা হয়। ডেটাবেজের প্রধান উপাদানগুলো হচ্ছে- ডেটা, রেকর্ড এবং ফিল্ড।
কোনো ডেটা টেবিলের প্রত্যেকটি ফিল্ডে আমরা যেসব মান ব্যবহার করি তাকে ডেটা বলে। পরস্পর সম্পর্কযুক্ত কতকগুলো ফিল্ডের সমন্বয়ে গঠিত হয় রেকর্ড, আবার রেকর্ডের প্রতিটি উপাদান হচ্ছে ফিল্ড। নিচে ডেটা, ফিল্ড এবং রেকর্ড এর উদাহরণ দেয়া হলো-
রোল নং
|
নাম
|
শ্রেণি
|
বয়স
|
১২১
|
সামিরা আকতার
|
একাদশ
|
১৫ বছর
|
ডেটাবেজ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা (Primary
concept of Database): ডেটাবেজ সম্পর্কে আলোচনার পূর্বে প্রথমে ডেটা (Data) বা উপাত্ত সমন্ধে জেনে নেওয়া যাক।
নিম্নে বিস্তারিত বনর্ণা দেওয়া হলোÑ
ডেটা (Data) বা উপাত্ত:
Data শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Datum শব্দের বহুবচন।
Datum অর্থ হচ্ছে তথ্যের উপাদান
(an item of information)| তথ্যের অন্তর্গত ক্ষুদ্রতম অংশসমূহ হচ্ছে ডেটা বা উপাত্ত।
প্রক্রিয়াকরণের পর সুনির্দিষ্ট ফলাফল পাওয়ার জন্য ব্যবহৃত ইনপুটসমূহকে উপাত্ত বা ডেটা বলে।
সংক্ষেপে বলা যায়, প্রাথমিকভাবে সংগৃহীত অস্ংঘবদ্ধ তথ্যকে ডেটা বলে।
ডেটা বর্ণ, সংখ্যা ও চিহ্নের সমন্বয়ে গঠিত হয়।
ডেটা প্রধানত তিন প্রকার। যথা: ক) নিউমেরিক ডেটা খ) নন-নিউমেরিক ডেটা গ) বুলিয়ান ডেটা।
ক) নিউমেরিক (Numeric) ডেটা: যে সব ডেটা শুধুমাত্র সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা যায় তাদেরকে নিউমেরিক ডেটা বলে।
যেমন-৫,১০,১৫
ইত্যাদি। নিউমেরিক ডেটাকে আবার দুভাগে ভাগ করা যায়।
যথা: ইন্টিজার ও ফ্লোটিং পয়েন্ট।
খ) নন-নিউমেরিক (Non-Numaric) ডেটা: যেসব ডেটা কোনো সংখ্যা প্রকাশ না করে কোনো অক্ষর বা স্ট্রিং প্রকাশ করে তাদেরকে নন-নিউমেরিক ডেটা বলে।
যেমন-তোয়া, জোয়া ইত্যাদি নাম। নন-নিউমেরিক ডেটাকে আবার তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা: ক্যারেক্টার, স্ট্রিং ও অবজেক্ট।
গ) বুলিয়ান (Boolean) ডেটা যে সকল ডেটার মান শুধুমাত্র দুটি অবস্থায় থাকতে পারে, যেমন-সত্য বা মিথ্যা, হ্যাঁ বা না, ০ অথবা ১ ইত্যাদি সে সকল ডেটাকে বুলিয়ান বা লজিক্যাল ডেটা বলা হয়।
ইনফরমেশন বা তথ্য (Information): সরবরাহকৃত ডেটা থেকে প্রক্রিয়াকরণের পর নির্দিষ্টি চাহিদার প্রেক্ষিতে সুশৃঙ্খল ও সুসংঘবদ্ধ যে ফলাফল পাওয়া যায় তাকেই বলা হয় ইনফরমেশন বা তথ্য। মনীষী মেরিলকে পোপেক তথ্যের একটি তাৎপর্যপূর্ণ সংজ্ঞা প্রদান করেছেন।
তাঁর মতে,
“Information is the orderly and useful arrangement of facts or data so that
they are accurate, timely, complete and concise.” অর্থাৎ তথ্য হচ্ছে যথাযথ প্রক্রিয়াকরনের মাধ্যমে উপাত্তের সঠিক, বস্তুনিষ্ঠ, অর্থবোধক, প্রয়োজনীয় সুসজ্জিত বিন্যাস।”
সুতরাং, তথ্য (Information) = উপাত্ত (Data) + (Context) + (Meaning)
Comments
Post a Comment