জীবন ভার্মি (ট্রােইকোডার্মা + ভার্মি কম্পোস্ট)

পৃথিবীতে সকল প্রাণীই খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। উদ্ভিদ মাটিতে জন্মায় ও মাটি হতেই প্রয়োজনীয় খাদ্য-উপাদান গ্রহণ করে বেড়ে উঠে এবং প্রাণীকুলের বেঁচে থাকার জন্য অত্যাবশ্যক অক্সিজেন সরবরাহ করে। জৈব পদার্থ হলো মাটির প্রাণ যা কমপক্ষে ৫ ভাগ থাকা উচিত। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল জাতের চাষাবাদ এবং শস্য উৎপাদনে শুধুই রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রায় ৬২% জমিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ ১ ভাগের কম। উদ্ভিদ ও প্রাণীজ বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের পর মাটিতে ব্যবহার করলে জৈব পদার্থের ‍পরিমাণ বেড়ে যায়।


জীবন ভার্মি ট্রাইকোডার্মা অনুজীব মিশ্রিত কেচোঁ সার, যা প্রাকৃতিকভাবে তৈরী, মান-সম্পন্ন, নির্ভেজাল ও পরিবেশ বান্ধব। মাটির সতেজতা, সজীবতা, উর্বরতা ও উৎপাদনক্ষমতা সচল রাখার জন্য পরিমাণমত জীবন ভার্মি ব্যবহার করা প্রয়োজন।

জীবন ভার্মির গুনাবলী:
১। মাটির উর্বরতা ও উৎপাদনক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও মাটিতে জৈব পদার্থ যোগ করে। 
২। রাসায়নিক সারের কার্যকারীতা বৃদ্ধি করে ও উৎপাদন খরচ কমায়।
৩। অধিক সময় মাটিতে আদ্রতা ধরে রেখে সেচ খরচ কমায়।
৪। গ্রোথ প্রমোটর হিসেবে কাজ করে এবং মূলকে শক্তিশালী করে।
৫। ফসলের ফলন বাড়ায়, বিশেষ করে ফলজাতীয় সব্জির ফলন অধিক পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
৬। ট্রাইকোডার্মা মিশ্রিত থাকায় গাছের ঢলে পড়া ও ব্লাইট জাতীয় রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
৭। সাধারণ জৈব সারের চেয়ে অনেক বেশী অনুজৈবিক কার্যাবলী বাড়ায়। 
৮। নেমাটোড বা কৃমির প্রভাব কমায়। 
৯। অতিখরা ও অতিশীত এর প্রভাব হতে গাছকে রক্ষা করে।
১০। মাটির লবণাক্ততা ও অম্লতা কমায়।

জীবন ভার্মির ব্যবহার ক্ষেত্র, মাত্রা ও পদ্ধতি:

ব্যবহার ক্ষেত্র: আমাদের দেশে উৎপাদিত সব ধরণের ফসলেই ব্যবহার করা যায়।


শস্য
সবজি
পাতা জাতীয় শাক
কন্দল সবজি
ফুল
ফল
ধান, গম, ভুট্টা, পাট, আখ, ডাল, সরিষা, পান, চা, তামাক ইত্যাদি
টমোটো, ফুলকপি, বাধাঁকপি, ঢেঁড়শ, পটল, করলা, শশা, খিড়া, মরিচ, সিম, মুলা ইত্যাদি
লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক, মুলাশাক, লেটুস, ধনিয়া ইত্যাদি
আলু, কচু, আদা, রসুন, পিঁয়াজ, হলুদ ইত্যাদি
গোলাপ, গাঁদা, ডালিয়া, লুপিন, রজনিগন্ধা, গ্ল্যাডিওলাস, শোভা বর্ধনকারী গাছ, ইত্যাদি
কলা, পেয়ারা, পেঁপে, আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, ড্রাগনফ্রুট ইত্যাদি।


প্রয়োগ মাত্রা: ফসল ভেদে শতক প্রতি প্রয়োগ মাত্রা:

দানাদার শস্য
সবজি
পাতা জাতীয় শাক
কন্দল সবজি
ফুল
ফল
১ – ১.৫ কেজি
১.৫ –২.০ কেজি
১ –২.০ কেজি
১.৫ –২.৫ কেজি
১.৫ –২.০ কেজি
১.৫ –২.০ কেজি

ব্যবহার পদ্ধতি: সাধারণত শেষ চাষের সময় জমিতে  ছিটিয়ে দিতে হবে রোপনকৃত ফসলে ছিটিয়ে মাটির সাথে  মিশিয়ে দিয়ে হবে। ফুল ও ফল গাছের গোড়ায় রিং পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যাবে। 

প্রস্তুতকারক ও বাজারজাতকারী
এক্সপ্রেস এগ্রো কেয়ার লি:
১৩১৪, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭, বাংলাদেশ। ফোন:+৮৮০১৭০৮ ৫২৮০০০

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

কেবি মডেল টেস্ট এর প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে........

কারিগরি শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের অনাগ্রহ কেন?

১.১০. পিএইচপি প্রশিক্ষণ